IBS কি? আইবিএস কেন হয়, লক্ষণ, রোগীর খাবার এবং আই বি এসের চিকিৎসা

ইংরেজি পেটের পীড়া Irritable Bowel Syndrome (IBS) আইবিএস হচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। ইংরেজিতে সিনড্রোম শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে একটি রোগের বিভিন্ন উপসর্গ বা লক্ষণের সমষ্টি। তাই আইবিএসকে পেটের কয়েকটি উপসর্গ বা লক্ষণের সমন্বয়ে সংজ্ঞা হিসেবে ধরা হয়। এ রোগে পেট অধিকতর স্পর্শকাতর হয় বলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে। পাশ্চাত্য দেশে প্রতি ১০ জনে অন্তত একজন মানুষ এ রোগে তার জীবদ্দশায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। নাটোরের একটি গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জন পুরুষে ২০ দশমিক ৬ জন এবং ১০০ জন নারীর মধ্যে ২৭ দশমিক ৭ জন এ রোগে আক্রান্ত হন।

আইবিএস কেন হয়?

আজ পর্যন্ত এ রোগের প্রকৃত কারণ এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারে নি  অথচ বহু বছর আগেই হোমিওতে এর ঔষধ তৈরী করে রেখেছেন হোমিওপ্যাথিক প্রভাররা। অনেক কারণে এ রোগ হয় বলে চিকিৎসার অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি – এটি হলো এলোপ্যাথিক চিকিৎসাবিদদের মতামত। এখন পর্যন্ত কেবল উপসর্গের চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে ভালো রাখার চেষ্টা করছে এলোপ্যাথি। স্নায়ুর চাপ এবং দুশ্চিন্তা, খাদ্যাভ্যাস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং সংক্রমণ, হরমোন (নারীদের মাসিকচক্রের সঙ্গে), মাদক গ্রহণ, বংশগত কারণ, পেটের যেকোনো অপারেশন ও দীর্ঘকাল ধরে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে আইবিএসের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয় এটি অনেকেরই জানার কথা।

IBS আইবিএস এর লক্ষণ

পেটব্যথা, পেটফাঁপা, পায়খানার সঙ্গে আম যাওয়া, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমন্বয় ইত্যাদি। কোনো রোগীকে আইবিএস হিসেবে শনাক্ত করতে হলে এ লক্ষণগুলোতে অন্তত দুটি লক্ষণ তিন মাস পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে। এ ছাড়া অন্য যেসব লক্ষণ থাকতে পারে, সেগুলো হলো—পেটে অত্যধিক গ্যাস, পেটে অত্যধিক শব্দ, বুক জ্বালা, বদহজম, পায়খানা সম্পূর্ণ না হওয়া, পেটে ব্যথা হলে টয়লেটে যাওয়ার খুব তাড়া, পেটব্যথা হলে পাতলা পায়খানা হওয়া, শারীরিক অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক চলাকালীন কিংবা মিলনের সময় ব্যথা। কিন্তু যদি পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়ে, শরীরের ওজন কমে যায় এবং হঠাৎ পায়খানার ঘনত্বের পরিমাণ কমে যায়, তবে এগুলো অন্য কোনো রোগের এমনকি কোলোরেকটাল ক্যানসারের উপসর্গও নির্দেশ করে।

IBS রোগ নির্ণয়

এ রোগ সাধারণত উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়। রোগীর বয়স ও সুনির্দিষ্ট লক্ষণের ওপর নির্ভর করে এক বা একাধিক পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। ৪০ বছরের কম বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে লক্ষণের ওপর নির্ভর করে রোগ শনাক্ত করা যায়। বয়স ৪০ বছরের ওপরে হলে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আইবিএস রোগীর ক্ষেত্রে এসব পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক থাকবে। পরীক্ষাগুলো হলো

  • রক্ত পরীক্ষা
  • মল পরীক্ষা
  • পেটের এক্স-রে
  • বেরিয়াম এনেমা
  • প্রক্টোসিগময়ডোস্কপি/কোলোনোস্কপি

উল্লেখ্য হোমিও চিকিৎসায় এই সকল টেস্ট করার খুব একটা দরকার পড়ে না

IBS  আইবিএসএর সঠিক হোমিও  চিকিৎসা

আইবিএস ঝুঁকিপূর্ণ রোগ নয়, সংক্রামক রোগও নয়, এমনকি বংশগত রোগও নয়। এ রোগ অন্ত্রের ক্যানসার কিংবা অন্য কোনো ক্যানসারের কারণ নয়, এ কথাগুলো রোগীর চিকিৎসা শুরুর আগে রোগীকে ভালো করে বুঝতে হবে। অনেক সময় ডাক্তারগণ এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা দিতে পারে না তাই তারা এটাকে মানুষিক রোগ বলতেও দ্বিধা করে না। যখনই দেখবেন তারা আপনার রোগ সারাতে ব্যর্থ – সেখানেই তারা আপনাকে মানুষিক রোগী বানিয়ে দিবে – একটা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আইবিএস সমস্যায় অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। ঠিকঠাক ভাবে ডাক্তার চিকিৎসা দিতে পারলে এই রোগ থেকে নিশ্চিত আরোগ্য লাভ করবেন।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বা চিকিৎসার মাধ্যমে কি এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায় ? অনেকেই আই বি এস রোগ থেকে মুক্তি পেতে বা এই সম্পর্কে পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে এরকম একটি প্রশ্ন করে থাকেন। উত্তর হলো – হাঁ, প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে আপনি চিরদিনের জন্য মুক্তি লাভ করবেন। তবে এখানে কিছু বিষয় আপনার মাথায় রাখতে হবে – আর সেটা হলো অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

আমি অভিজ্ঞ কথাটি বললাম এই কারণে যে – কিছু কিছু ডিগ্রীধারী নতুন ডাক্তার রয়েছেন তাদের চিকিৎসা হয়তো ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার যিনি সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৮ বছর প্রাকটিস করছেন এবং ক্রনিক রোগগুলির চিকিৎসা দিয়ে আসছেন তার ট্রিটমেন্ট ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম থাকে।

আই.বি.এস এমনিতেই একটি জটিল প্রকৃতির রোগ তার উপর অনেকেই দেখা যায় – ২/৪ দিন কিছু ঔষধ খেয়েই ভালো হয়ে যেতে চান। যারা এই ভুলটি করেন তারাই এই রোগে বেশি কষ্ট ভোগ করেন এবং দীর্ঘদিন কষ্ট করতে থাকেন। আপনাকে বুঝতে হবে – যেকোন ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে আপনি যদি প্রপার ট্রিটমেন্ট না নিয়ে – একবার এই ঔষধ, আরেকবার ঐ ঔষধ খেতে থাকেন তাহলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া তো দূরের কথা বরং রোগ জটিলতা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে একজন চিকিৎসককে পর্যন্ত শেষকালে সুচিকিৎসা দিয়ে রোগীকে ভালো করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।

তাই Irritable Bowel Syndrome (IBS) বা আই.বি.এস, পুরাতন আমাশয় বা পেটের পীড়াসহ যেকোন ক্রনিক রোগে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। যদি ট্রিটমেন্ট ঠিক ঠাক ভাবে করা হয় আপনার রোগ যত পুরাতন বা তীব্রই হোক না কেন – এটি নির্মূল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আরো কিছু জানার থাকলে ফোন করে জেনে নিবেন। ধন্যবাদ।

ডাঃ মোঃ গিয়াস উদ্দিন (ডিএইচএমএস – বিএইচএমসি, ঢাকা)

অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (মডেল হোমিও ফার্মেসি। যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।)

যৌনসমস্যা (দ্রুত বীর্যপাত, হস্তমৈথুন অভ্যাস, লিঙ্গ নিস্তেজ, যৌন দুর্বলতা, পুরুষত্বহীনতা, ধ্বজভঙ্গ, হাইড্রোসিল, ভেরিকোসিল, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি) স্ত্রীরোগ (ডিম্বাশয়ে টিউমার, সিস্ট, ব্রেস্ট টিউমার, জরায়ুতে টিউমার, জরায়ু নিচে নেমে আসা, যোনিতে প্রদাহ, অনিয়মিত মাসিক, বন্ধ্যাত্ব, অতিরিক্ত স্রাব ইত্যাদি), বাত ব্যথা, লিভার, কিডনি, আইবিএস, পুরাতন আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, পাইলস বা অর্শ, গেজ, ভগন্দর ইত্যাদি রোগের অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক।

কথা বলুন (সরাসরি ডাক্তার) : ০১৯২৪-০৪১৮৯৬ এবং ০১৭৮৯-১৪৪৩৭১

আপনার যেকোন স্বাস্থ সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করুন।

Scroll to Top
×

Hello!

Click one of our contacts below to chat on WhatsApp

×