হোমিওপ্যাথি কি? | সংজ্ঞা, ইতিহাস, এবং তথ্য

আঠারো শতকের শেষদিকে জার্মানির স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ম্যালেরিয়ার ঔষধ (সিনকোনা উদ্ভিদ) নিয়ে কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় তিনি তা নিজের ওপর প্রয়োগ করে দেখলেন যে তার ম্যালেরিয়ার রোগের ন্যায় সেইম উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এর কারন অনুসন্ধানের সময় তিনি হোমিওপ্যাথির প্রথম ও প্রধান নীতি (Principle) Like Cures Like আবিষ্কারের মাধ্যমে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন যা তার নাম অনুসারে (হ্যানিম্যান➡হোমিওপ্যাথি) নামে পরিচিতি পায়।

হোমিওপ্যাথির প্রধান নীতিসমূহ (Principles)

  • Like Cures like:– প্রধান এই নীতির মূল কথা হল, রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এজেন্ট (অনুজীব, রাসায়নিক,পদার্থ ইত্যাদি) সেই রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। সোজা বাংলায় কাটা দিয়ে কাটা তোলা।
  • Minimum potentized dose:- সক্রিয় ঔষধের মাত্রা (ঘনত্ব) যত কম হবে, ঔষধের কার্যকরীতা (ক্ষমতা) তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।
  • The Single Remedy:- একসাথে একাধিক Remedy ব্যবহার না করে মাত্র একটি Remedy ব্যবহার। (Single remedy at every single time)
  • True Diseases:- প্রধান নীতি Like Cures like হলেও দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে এখানে মূলত হোমিওপ্যাথিক নিয়মে রোগীর DNA তে বিদ্যমান Predominant (প্রিডোমিন্যান্ট) True Diseases কে রেসিসিভ বা নিস্তেজ করা হয়ে থাকে। এর ফলে সেটি কর্তৃক সৃষ্ট শরীরে যাবতীয় জটিল লক্ষণ উপসর্গ বা রোগ-ব্যাধি স্থায়ীভাবে দূর হয়ে যায়।

আধুনিক বিজ্ঞান Vs হোমিওপ্যাথিক Principle

Like Cures like নীতি অনুসারে রোগের কারন রোগ সারানোর ক্ষমতা রাখে। আধুনিক বিজ্ঞান এটাকে স্বীকার না করলেও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রধান একটা হাতিয়ার Vaccine এই একই নীতি মেনে কাজ করে। তাই বুঝাই যায় সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই হোমিওপ্যাথির প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়।
Vaccine হল একটি জৈবিক প্রস্তুতি; Biological preparation যা নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সক্রিয় অর্জিত অনাক্রম্যতা (Acquired active immunity) সরবরাহ করে। ভ্যাকসিনে রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী জীবাণু বা তার টক্সিন অংশ বা তার পৃষ্ঠতলের দুর্বল প্রোটিন বা মৃত ফর্ম খুবই অল্প পরিমানে থাকে যা দেহে রোগ সৃষ্টি করতে না পারলেও দেহের Immunity কে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যতে সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে।

তাহলে যে জীবানু যে রোগ সৃষ্টিকরে সেই জীবানুই অতি-স্বল্প পরিমান দেহে পুশ করলে তা সেই রোগ প্রতিরোধ করে। যা এলোপ্যাথিতে ব্যবহৃত Like Cures like নীতির বাস্তব প্রমান।যদিও এলোপ্যাথিক ভ্যাকসিন যে নিয়মে প্রয়োগ করা হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ পরবর্তীতে ভয়ংকর এবং জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যেগুলি বহু ক্ষেত্রেই রিভার্স করা সময় সাপেক্ষ এবং কিছু ক্ষেত্রে দুঃসাধ্যও বটে।

তাছাড়া জটিল জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জর্জরিত এলোপ্যাথি তাদের নিজেদের দোষ-ত্রুটি আড়াল করতে এবং এক চেটিয়া ঔষধের ব্যবসা ধরে রাখতে হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। যদিও দুরারোগ্য ও জটিল জটিল রোগ নির্মূলে হোমিওপ্যাথির ক্রমাগত সফলতার কারণে, মেডিক্যাল মাফিয়াদের কোন অপপ্রচারই শেষে আর ঠিকছে না। কারণ একিউট ডিজিসের (নতুন রোগ) চিকিৎসায় চমক দেখাতে পারলেও ক্রনিক ডিজিসের (পুরাতন রোগ) ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি স্থায়ীভাবে রোগ সারাতে ব্যর্থ ৮০% ক্ষেত্রেই। আপনি দেখবেন যেকোন ক্রনিক ডিজিসের ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা জটিল জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওয়ান টাইম রাসায়নিক ঔষধগুলি মানুষকে সারা জীবন ধরেই খেয়ে যেতে বলছে, যা তাৎক্ষণিক আরাম দিলেও জটিল জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা বা রোগ-ব্যাধি সৃষ্টি করে চলেছে মানব দেহে। তাছাড়া সাধারণ জ্বর-সর্দি থেকে শুরু করে অধিকাংশ রোগেই যখন তখন উচ্চ শক্তির এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করে চলেছে যা ব্যক্তির ভাইটাল ফোর্সকে চরম ভাবে দুর্বল করে তুলছে এবং এর ফলে খুব সহজেই আজকাল লোকজন অল্প বয়সেই জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।

মেডিক্যাল মাফিয়ারা নিজেদের দোষ-ত্রুটি আড়াল করতে অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলির বিরুদ্ধে তাদেরই নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে একচেটিয়া অপপ্রচার চালিয়ে আসছে শুধু থেকেই। কিন্তু আজকাল মিডিয়া প্রায় সবারই হাতের নাগালে রয়েছে। তাই চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে যারা যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তারা শুরু থেকেই লাভবান হোন। আর যারা এলোপ্যাথির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন অথবা কোন প্রকার যাচাই বাছাই করার মতো জ্ঞান রাখেন না তাদের অনেকেই চরম ক্ষতির মুখে পড়েন। কেউ কেউ আবার চিকিৎসা নিতে গিয়ে সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে পথে পর্যন্ত বসে যান।তবে এটা ভাববেন না যে, আপনাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে নিষেধ করা হচ্ছে । বরং আমি বলবো যেকোন ইমার্জেন্সি কেইসে আপনি নির্দ্বিধায় এলোপ্যাথিক বিষেশজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন কিন্তু ক্রনিক কেইসে হোমিওপ্যাথি এবং কিছু ক্ষেত্রে ন্যাচারোপ্যাথি যে কারো জন্যই অতি উত্তম ও অধিক ফলদায়ক। এখানে শুধু ভয়াবহ কিছু অসঙ্গতি সম্পর্কে আপনাদের সচেতন করা হয়েছে যাতে কেউ প্রতারিত না হন।
মনে রাখবেনঃ যে চিকিৎসায় আপনার রোগ স্থায়ী ভাবে দূর হবে, যে চিকিৎসায় আপনার আর্থিক সাশ্রয় হবে, যে চিকিৎসায় আপনার শরীরে অন্য কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরী হবে না, যে চিকিৎসায় আপনার দেহ-মন সার্বিক ভাবে ভালো থাকবে, আপনি সে চিকিৎসাটাই নিন – হোক সেটা হোমিওপ্যাথি, ইলেক্ট্রোপ্যাথি, এলোপ্যাথি, আর্য়ুর্বেদ, ন্যাচারোপ্যাথি বা অন্য কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম।

Minimum Potentised Dose

সক্রিয় ঔষধের মাত্রা(ঘনত্ব) যত কম হবে, ঔষধের কার্যকরীতা (ক্ষমতা) তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এইজন্য মূল রেমেডিকে পানি বা আ্যলকোহল দ্বারা পর্যায় ক্রমিক লঘু করা হয় এবং প্রতিবার লঘু করার সময় তীর্বভাবে ঝাকানো হয় যাতে রেমেডির শক্তিমাত্রা বৃদ্ধি হয়। এই নীতির বিপক্ষে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাখা দিয়ে আসছিলো- পর্যায় ক্রমিক লঘুকরনে মূল সক্রিয় রেমেডির কোন একক মলিকুল/অংশ অবশিষ্ট থাকে না যা রোগের চিকিৎসা করবে। কিন্তু কথা হল বিজ্ঞান এই যুক্তি দেখালেও এর পেছনের প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হচ্ছিলো কারণ হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে ঐ ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যাচ্ছে – এই রহস্য উৎঘাটনের মতো সক্ষমতা বিজ্ঞান এখন পর্যন্ত পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি। বিজ্ঞান এক্ষেত্রে এখনও একটা শিশু মাত্র।
কিছুদিন পূর্বে ভারতের একদল গবেষক ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে এটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, একাধিক বার ডাইলুশনের পরেও হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উপাদান থেকে যায়। এতদিন বিজ্ঞান এটা প্রমাণ করতে পারেনি। তাঁর মানে হলো বিজ্ঞান তখন সেই পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয়নি। আজ চির সত্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁর মানে এতদিন হোমিওপ্যাথিকে জানতে বিজ্ঞানের দুর্বলতা ছিল।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হোমিওপ্যাথির রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি যা বিশ্বের আর কোন চিকিৎসা পদ্ধতির নেই। আর হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ সেরে যাচ্ছে। কিন্তু ঔষধটি ঠিক কিভাবে রোগ সারাচ্ছে অর্থাৎ ভেতরে এর মেকানিজম কি? আধুনিক বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত সেটা পুরুপুরি উদ্ঘাটন করতে পারেনি অর্থাৎ আবিষ্কার করতে পারেনি। বর্তমান বিশ্বে কোন বিজ্ঞানী যদি সেটা উদ্ঘাটন করতে পারেন তিনি যে একই সাথে কয়েকটি নোবেল পুরস্কার পেয়ে যাবেন তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু মেডিক্যাল মাফিয়ারা কখনও চায় না সে রহস্য উদ্ঘাটন হোক। তাই এই বিষয়ে গবেষণার জন্য কোন ফান্ড দিতেও কেউ রাজি নয়।

তবে আজ পর্যন্ত যেটুকু উদ্ঘাটিত হয়েছে, এক্ষেত্রে Homeopathy এর ব্যাখ্যা হল দ্রাবক দ্রবীভূত পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি পুনরুত্পাদন করার ক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ কোন দ্রাবক (পানি বা আ্যলকোহল) এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেখানে দ্রাবক তাতে পূর্বে দ্রবীভূত যেকোন দ্রাবের বৈশিষ্ট্য, ধর্ম অর্জন করে নিজের কাঠামোগত পরিবর্তন করে দীর্ঘদিন তা ধারন করে যা Memory of water নামে পরিচিত। দ্রাবকে দ্রাবের পরিমান যা কম এবং পর্যায়ক্রমিক লঘুকরনের সময় মূল রেমেডির যত বেশি ঝাকানো হবে দ্রবীভূত দ্রাবের বৈশিষ্ট্য তত বেশি দ্রাবকে ট্রান্সফার হয়ে মেমোরি তত তীব্র করে রেমেডির শক্তিমাত্রা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে Memory of water নিয়ে সুক্ষ্ম রিসার্চ চলছে। ২০০৮ সালে মেডিসিনে নোবেল বিজয়ী মন্টাগনিয়ার বিজ্ঞানীদের স্তম্ভিত করেছিলেন যে ডিএনএ দুর্বল তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ নির্গত করে যা পানিতে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটায় যা তীব্র লঘুতায় ও স্থায়ী থাকে।
লর্ড বেকনের প্রবর্তিত বৈজ্ঞানিক গবেষণার আরোহনীতি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের জনক স্যার আইজ্যাক নিউটন এর আবিষ্কৃত তৃতীয় গতি সূত্রের উপর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক সূত্রটির সমতুল্য। গতি সূত্রটিঃ “প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে।” (Action and reaction are equal and opposite)
বিশ্বের বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী নিকোলাস টেসলা বলেছেন – পৃথিবীর গোপন রহস্য কেউ বুঝতে চাইলে সে যেন শক্তি (Energy), কম্পন (Vibration) এবং কম্পাঙ্ক (Frequency) নিয়ে পড়াশোনা করে। তার কথার সত্যতা উপলোগধী করা যায় হোমিওপ্যাথিক বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলে। প্রতিটি হোমিও ঔষধই হলো শক্তিকৃত যেখানে রয়েছে কম্পন আর কম্পাঙ্কের সমন্বয়। নির্দিষ্ট মাত্রায় ঝাকি দিয়ে হোমিও ঔষধের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে আর শক্তিকৃত ঔষধই মানব দেহে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
হ্যানিমান শক্তিকরণে আনেন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন- স্থুল মাত্রার চেয়ে সূক্ষ্ম মাত্রাতেই ঔষধের আরোগ্যকারী ক্ষমতা অধিক নিহিত। এরুপে ঔষধের মাত্রার পরিমাণ কমাতে গিয়ে হ্যানিম্যান শক্তিকরণ বা Principle of Potentization আবিষ্কার করেন।
বিজ্ঞানী ডালটন এর মতে – পদার্থকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যে সূক্ষ্মতম স্তরে উপণীত হওয়া যায় তা পারমাণবিক স্তর (Atomic)। তার ধারণা পরমাণু (Atom) অবিভাজ্য। এই অখন্ডনীয় পরমাণুর সমন্বয়ে পদার্থ গঠিত হয়। প্রত্যেক পরমাণু এক একটি শক্তিকেন্দ্র।
বিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম ব্রকস পরীক্ষা করে প্রমাণ করেন যে, পরমাণুকে বৈদ্যুতিক শক্তির দ্বারা আরও সূক্ষ্ম অংশে বিভক্ত করা যায়। হোমিওপ্যাথি শক্তিকরণে তিনটি সত্য প্রকট-
  • বিভাজিত ঔষধ যতো সূক্ষ্ম হোক-না-কেন তার জড় পদার্থ অবিনশ্বর থাকবে।
  • ঔষধ যতো বেশি সূক্ষ্ম হবে ততোবেশি শক্তিশালী হবে।
  • বাঞ্জিত শক্তি লাভের প্রয়োজনে ঔষধ ইচ্ছামত বিভাজিত করা যায়।
মাত্রা বিজ্ঞানে (হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে) হ্যানিমানের অভিনব নীতি এক বিস্ময়কর উন্নয়ন। এই আবিষ্কার না হলে ব্যর্থতার কারণে হোমিওপ্যাথি আরোগ্যনীতি বহুকাল আগেই লোকে ভুলে যেতো। বিজ্ঞানী ডালটনের ও বিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম ব্রকস- এর উক্ত সূত্রে শক্তিকরণকৃত বিশ্বে সর্বপ্রথম মানব দেহে ব্যবহার উপযোগী ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে একমাত্র তৈরিকৃত “হোমিওপ্যাথি ঔষধ” অন্যান্য প্যাথির (চিকিৎসায়) ঔষধ হতে রোগী বিনা কষ্টে ও বিনা অস্ত্রোপচারে (সার্জারি) যন্ত্রণাদায়ক রোগ হতে তুলনামূলক দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ আরোগ্য লাভের জন্য বিশ্বের অন্যান্য প্যাথির (চিকিৎসাশাস্ত্রে) “হোমিওপ্যাথি শক্তিকরণ” নীতি অনুসরণে ভ্যাকসিন এবং ইনজেকশনসহ দরকারী ঔষধ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথির বেলায় মেডিক্যাল মাফিয়াদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হোমিওতে রোগ স্থায়ীভাবে ভালো হয়ে যায়, এখানে আজীবন মানুষকে ঔষধ খাওয়ানো যায় না বলে ঔষধের স্থায়ী ব্যবসা নেই।

The Single Remedy

Homeopathy চিকিৎসা পদ্ধতিতে Single Remedy ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ একসাথে একাধিক রোগের চিকিৎসা করা হয় না। একটি রোগের চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পরেই অন্যটির চিকিৎসা শুরু করা হয়। (এখানে রোগ বলতে ব্যক্তির DNA তে প্রিডোমিন্যান্ট True Disease কে বুঝানো হয়েছে।  এক্ষেত্রে রোগ একটি থাকলেও শরীরে একাধিক অঙ্গে বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ থাকতে পারে যেগুলিকে আলাদাভাবে রোগের নাম নামকরন করে ব্যবসা করা হয়ে থাকে এলোপ্যাথিতে। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে সেগুলিতে রোগ মনে করা হয় না বরং বলা হয়ে থাকে Results of disease)। এছাড়াও ভুলে কোন হোমিওপ্যাথিক Remedy use করে ফেললে সেই Remedy এর কার্যকারিতা নষ্ট করার জন্য তার বিপরীত Remedy ব্যবহার করে তাকে ধ্বংস করা হয়। যা আধুনিক মেডিসিন এর সাথে সঙ্গতিপূর্ন।

ইতিমধ্যেই জেনেছেন, আধুনিক বিজ্ঞান এখনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থার পুরোপুরি পোস্টমর্টাম করতে পারেনি। হোমিওপ্যাথিক রেমেডি কিভাবে দেহে শোষিত হয়, কাজ করে রোগ থেকে আরোগ্য করে তা বের করতে পারেনি। অর্থাৎ বিজ্ঞান এখনও সে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি বরং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সংস্থা নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে উল্টো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে Placebo effects বলে চালিয়ে দেয়।প্লাসেবো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোন সক্রিয় মেডিসিন ব্যবহার করা হয় না। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিসিনের কোন Physiological properties দেহে কোন Pharmacological action নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্বাস করানো হয় যে আপনাকে সঠিক মেডিসিন দেওয়া হয়েছে কিন্তু তা করা হয় না। যখন আপনি বিশ্বাস করছেন যে আপনি সঠিক মেডিসিন নিচ্ছেন এবং আরোগ্য হচ্ছেন তখন আপনার মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই রোগের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত হরমোন, প্রোটিন নিঃসরন করে সেই রোগের চিকিৎসা করে থাকে। এবং আপনি সত্যি সত্যি সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু হোমিওপ্যাথি যদি সত্যিই প্লাসেবো পদ্ধতি হতো তাহলে হয়তো দুয়েকটি ক্ষেত্রে রোগ সারানোর খবর শোনা যেত। আর এভাবে কোন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি প্রায় ২০০ বছর যাবৎ সুনামের সাথে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। অথচ বাস্তবে তার উল্টোটি দেখা যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে ক্রনিক ডিজিস স্থায়ীভাবে নির্মূলের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথির সাফল্যই শীর্ষে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের তেমন কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া না থাকায় বিশ্বের বহু দেশেই এমনকি FDA, WHO দ্বারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিষিদ্ধ নয় বরং সর্বাধিক ব্যবহৃত স্বীকৃত। তাছাড়া প্রায় দুইশো বছর এই চিকিৎসা চলে আসছে। এটি সফল বা কার্যকর না হলে এতো এতদিন কোন ভিত্তিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো না।

আমেরিকাতে ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলো মেডিকেল সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণ করে? প্রায় ৫০ টি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালও তাদের দখলে, ১৯ শতকে আমেরিকায় হোমিওপ্যাথির জয়জয়কার ছিলো, গড়ে উঠেছিল শত শত হোমিওপ্যাথিক হাসপাতাল, বলতে গেলে সে সময় হোমিওপ্যাথিই হেলথ সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করতো।

কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের কিছু পরে এলোপ্যাথিক ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলোর পক্ষ হতে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হলো লোভনীয় অফার, যাতে শুধু এলোপ্যাথিকে সায়েন্টিফিক এবং বাকী চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নন সায়েন্টিফিক ঘোষণা দেয়া হয়। এতে আমেরিকার সরকার লোভনীয় অফারে রাজি হয়ে গেলো, হেলথ সেক্টরের মোটা অংকের মুনাফা সরকারের ফান্ডেও আসবে এই ভেবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এই প্রস্তাব নাকোচ করে দিলেন, যার কারনে এখনো যুক্তরাজ্যের হোমিওপ্যাথি মোটামুটি টিউব লাইটের মতো জ্বলছে।

বর্তমানে NHS সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে, পারছেনা শুধু রাজ পরিবারের জন্য, কিন্তু তরপরেও তারা থেমে নেই, সরকারি হাসপাতালগুলো যেহেতু NHS এর আওতায় তাই তারা চিকিৎসকদের হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাপ্লাই বন্ধ করে দিয়েছে, ঘোষণা দিয়েছে যাতে সবাই এলোপ্যাথিক ঔষধ প্রেসক্রাইব করে, কিন্তু অনেক চিকিৎসকই নিজের টাকায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিনে রেখে রোগীকে প্রদান করে। তখনকার সময়ে এলোপ্যাথিক ঔষধ কোম্পানিগুলো আর মুনাফালোভী সরকার অধিক মুনাফার লোভে সব সরকারি হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালগুলোকে বন্ধ করে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে জেনারেল হাসপাতাল বানিয়েছে। আজ মানুষকে কোন রোগের জন্য সারা জীবন ধরে ঔষধ খেয়ে যেতে হয়। ঔষধ ছাড়া মানুষ বাঁচে না। রাসায়নিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জীবন প্রায় দুর্বিসহ কিন্তু বহু মানুষ সময় মতো তা বুঝতেই পারছে না। কেউ কেউ জীবন সায়াহ্নে এসে তা উপলোগধী করে। অনবরত রাসায়নিক ঔষধ সেবনের ফলে ভাইটাল ফোর্স দিন দিন নিম্নস্তরে পৌঁছায়। সাধারণ ভাইরাস আক্রমণ করলেই লাশের মিছিল শুরু হয়ে যায় এখন ইউরুপ এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে।

হোমিওপ্যাথি বিরোধী সমালোচনা

সমালোচনা ও বিরোধিতা করতে হলে কয়েকদিনে দুই চারটি হোমিওপ্যাথি মেটেরিয়া মেডিকা বই পড়ে ও ইন্টারনেটে হোমিওপ্যাথি বিরোধী মেডিক্যাল মাফিয়াদের মনগড়া লেখা পড়ে এবং রেফারেন্স ব্যবহার না করে সমালোচনা না করে যদি নিজের সৎ সাহস থাকে তাহলে বছরের পর বছর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে লেখাপড়া করে ডিএইচএমএস এর পর বিএইচএমএস তারপর এমডি তারপর পি-এইচডি হোমিওপ্যাথি বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি নেয়ার চেষ্টা করুন। তারপর সেই চিকিৎসা বিজ্ঞান সমন্ধে সমালোচনা করুন। দুই চারটা হোমিওপ্যাথি বই পড়ে জ্ঞানের মহাপন্ডিত হিসাবে নিজেকে মনে না করে ও জাহির না করে, সেই চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্যকলার গভীরে যেতে চেষ্টা করুন।

আপনাদের জেনে রাখা ভালো, বর্তমান বিশ্বে হোমিওপ্যাথিই হল মেডিসিনের সর্বোচ্চ শাখা আর হোমিও চিকিৎসকরাই হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেডিসিন এক্সপার্ট ডাক্তার। সার্জারি বহির্ভুত প্রায় ৯০% রোগের চিকিৎসা একক ভাবেই কভার দিয়ে থাকে হোমিওপ্যাথি।  বর্তমান পর্যন্ত হোমিও ট্রিটমেন্ট সিস্টেমের মেডিসিনের সংখ্যা হলো প্রায় ৮২০০ যা বিশ্বের সকল ট্রিটমেন্ট সিস্টেমের মেডিসিন এক সাথে করলেও হোমিও মেডিসিনের সমপরিমাণ হবে না। হোমিও মেডিসিন সরাসরি মানব দিয়ে প্রয়োগ করে প্রোভিং করা হয়ে থাকে এবং হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুসরণ করে রোগারোগ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিছু কিছু আন্তজার্তিক অ্যালোপ্যাথি ঔষধ কোম্পানি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যানের জীবনদশা হতে চক্রান্ত করে আসছে। তা নতুন নয়। চক্রান্তকারীগণ একটি পক্ষভুক্ত। বিশাল অর্থ লগ্নি করে অ্যালোপ্যাথি ঔষধ বাজারজাত ও অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। আজ লক্ষ্য করুন ঢালাও ভাবে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের ফলে বিশ্বমানব সভ্যতা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি ভয়াবহতায় মুখে আছে। এলোপ্যাথিতে অধিকাংশ ক্রনিক রোগ ভালো করা দুঃসাধ্য বরং সারাজীবন ধরে মানুষকে ঔষধ খেয়ে যেতে বলা হয়ে থাকে প্রায় সব ক্রনিক কেইসেই। এভাবেই মানুষকে বোকা বানিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যবসা করে আসছে এলোপ্যাথিক মেডিক্যাল মাফিয়ারা।

আপনি জানেন কি? বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে শুধুমাত্র ডায়াবেটিস সহ বহু ক্রনিক রোগের ঔষধ বিক্রি করার প্রচারণায়। তবে এটা হয়তো অনেকেই জানেন, এলোপ্যাথিক ফার্মেসি গুলোর বড় মাপের গ্রাহক হলো ডায়াবেটিস রোগীরা। এই ডায়াবেটিস গবেষণার নামে বিশ্বব্যাপি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। অথচ কোন কার্য়কর ঔষধ কি আবিস্কার হয়েছে আজ পর্যন্ত? শুধু গবেষণা চলছেই!! মনে রাখবেন এলোপ্যাথিক মেডিক্যাল মাফিয়ারা কেয়ামত পর্যন্ত বলবে গবেষণা চলছে কিন্তু আদৌ এই সমস্যা নির্মূলের কোন ঔষধই আবিষ্কার করবে না!

রেন্ডমাইজ্ড ট্রায়ালে বা ব্লাইন্ড ট্রায়ালের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিতে কেউ অর্থায়ন করে না কারণ এলোপাথির মতো এখানে ব্যবসা নেই। ব্যক্তিগত পক্ষপাত দূর করার জন্য এবং যে কোন বিষয় “প্রভাবশালী” কিনা তা জানার জন্য এই পদ্ধতির মধ্যদিয়েই যেতে হয়। এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাওয়া পরীক্ষনগুলো পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পিয়ার রিভিউড জার্নালে ছাপা হয়। করোনাকালে এরকম দু-এক খানা জার্নালের নাম আশাকরি সবাই জেনে গেছেন। যেমন ধরুন “দ্য লেন্সেট”। এরকম জায়গায় হোমিওপ্যাথির বিভিন্ন ঔষধ বা উপায়ের করা ট্রায়ালের ফলাফল ছাপা হতে দেয়া হয় না।
ইংল্যান্ড সম্প্রতি হোমিওপ্যাথি বিষয়ে সরকারীভাবে স্বাস্থ্য সেবায় আর্থিক সহায়তা বন্ধ করেছে তাদের স্বদেশী ও আন্তর্জাতিক অ্যালোপ্যাথি ঔষধ উৎপাদনকারী সিন্ডিকেট এর চাপে। হোমিওপ্যাথি অগ্রযাত্রা ও জটিল রোগী আরোগ্যের সফলতা হোমিওপ্যাথি বিরোধি ও সমালোচকগণ সহজে মেনে নিতে পারছেন না। হোমিওপ্যাথি বিষয়ক গবেষণা করতে বিশ্বব্যাপি হোমিওপ্যাথিসহ সব প্যাথির গবেষকদের যৌথ প্রতিনিধি সহযোগে গবেষণা টিম করা। কোন দেশ শুধুমাত্র এককভাবে অ্যালোপ্যাথি ভাবাপন্ন বিজ্ঞানী দিয়ে মনগড়া টিম করে হোমিওপ্যাথিকে অবজ্ঞা করা ও হোমিওপ্যাথি বিরোধি রিপোর্ট কখনও গ্রহণযোগ্য নয়।
আন্তজার্তিক একটি স্বাস্থ্য সংস্থার কথা বিরোধিকারীগন প্রায়ই বলে। সেই আন্তজার্তিক সংস্থা চলে আমেরিকার কথা মত। আর আমেরিকা প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করছে ইহুদিরা…। আমেরিকা অর্থ না দিলে নিদিষ্ট পরিমার চাঁদা না দিলে প্রতিষ্ঠানটির দূরাবস্থা হয়ে পড়ে। তাদের কারণে আন্তজার্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু করতে পারছেনা।
স্ব স্ব দেশের সরকারের উচিত তাদের দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, খাদ্যাভ্যাসসহ ভৌগোলিক অবস্থার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে স্ব স্ব দেশে গবেষণাগার ও হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন তথা নিয়মিত গবেষণা করা ও নতুন নতুন পরীক্ষিত হোমিওপ্যাথি ঔষধ আবিষ্কার করা। সঙ্গে ঔষধের উপাদান, শক্তিকরণ, মাত্রাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা। গবেষণা একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়মিত কার্যক্রম।
ভারতে হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সরকারী ও বেসরকারীভাবে হোমিওপ্যাথি গবেষণা করে আসছে। হোমিওপ্যাথি আজ শুধু জার্মান দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। হোমিওপ্যাথি আজ বিশ্বব্যাপি। বাংলাদেশে দ্রুত হোমিওপ্যাথি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও নিয়মিত গবেষণা করা এবং গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশ করা এখন সময়ের দাবী।
হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ আজ আর শুধু জার্মান ও আমেরিকায় উৎপাদন হয় না। বিশ্বের প্রায় দেশেই হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে। মেধাবীরা লেখাপড়া করছে। তেমনি বর্তমানে জার্মান, আমেরিকা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, সুইজারল্যান্ড সহ বিশ্বের প্রায় উন্নত দেশেই আধুনিক কম্পিউটারীজ যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ও মান সম্মত (আন্তজার্তিক মানের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ISO, GMP হোমিওপ্যাথি ঔষধ উৎপাদন এবং বাজারজাত হচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা বিজ্ঞান হোমিপ্যাথিকে ১৯৮৬ সালে প্রগতিশীল ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অব ফার্মাসি এর অর্ন্তভুক্ত করে, বিশ্বব্যাপি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিএইচএমএস ডিগ্রি কোর্স চালু করে বিশ্বজনীন মর্যাদা দিয়েছে।
Scroll to Top
×

Hello!

Click one of our contacts below to chat on WhatsApp

×