ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস জনিত পেটের কিছু উপসর্গ এবং মানসিক কিছু উপসর্গ একই সময়ে প্রকাশ পেলেও IBS কিন্তু আদৌ কোন মানুষিক সমস্যা নয়। মূলতঃ হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য প্যাথির চিকিৎসকরা আইবিএস সমস্যার ঠিকঠাক চিকিৎসা দিতে না পেরে এটিকে একটি মানসিক সমস্যা বলে রোগীদের বিভ্রান্ত করে থাকে।
আগেই বলেছি বিভিন্ন প্যাথির ডাক্তাররা সুচিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়ে আইবিএস সমস্যায় আক্রান্তদের মানসিক রোগী হিসেবে সাব্যস্থ করলেও হোমিওপ্যাথি কিন্তু এই সমস্যার সুচিকিৎসা নিশ্চত করে রেখেছে শত বছর পূর্বেই। পেটের কিছু উপসর্গ মানসিক চাপে বাড়লেও এটিকে কখনোই মানুষিক সমস্যা বলা যাবে না আবার মানুষিক কারণে পেটের পীড়া বাড়ে বিষয়টি কিন্তু তাও নয়। আশংখা, উদ্বেগ, দুঃশ্চিন্তা, ভয়, বিষণ্ণতা এসবের সাথে পরিপাক ক্রিয়ার সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয় না। তবে আমরা যখন রোগাক্রান্ত হই আমাদের শরীরে বাহির দিকে যেমন বিভিন্ন লক্ষণ উপসর্গ প্রকাশ পায় ঠিক তেমনই আমাদের মনেও বিভিন্ন লক্ষণ উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে।
অর্থাৎ আপনার ডিএনএ তে বিদ্যমান যে জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালস আপনার পেটের পীড়া সৃষ্টি করেছে ঠিক একই কারণে আপনার মনেও কিছু ডিসঅর্ডার তৈরী হয়েছে। অর্থাৎ মনো-দৈহিক বিভিন্ন লক্ষণ উপসর্গ সৃষ্টির পেছনে একই কারণ বিদ্যমান থাকে। আর আমরা বিভিন্ন ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমাদেরই ডিএনএ তে বিদ্যমান বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালস এর প্রকটতায়। যা বিভিন্ন কারণে বিকশিত হয়ে ভাইটাল ফোর্সের দুর্বলতম অবস্থায় আমাদের দেহ মনে অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন রোগ লক্ষণ জাগিয়ে তুলে। ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম IBS তেমনই একটি সমস্যা যা আদৌ কোন মানসিক রোগ নয়।
হোমিওপ্যাথি যেহেতু একটি মানুষের সার্বিক অবস্থা নিয়ে চিন্তা করে ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকে তাই প্রকৃত আরোগ্য লাভে কিছুটা সময় লাগলেও অধিকাংশ রোগীরাই নির্মল আরোগ্য লাভ করে বিধায় দেহ-মন সর্বদিক থেকেই সে ভালো থাকে – যাকে বলে সুস্বাস্থ্য।